বাচ্চারা যখন হামাগুড়ি দেয়, হাঁটা শেখে, দৌড়ায় বা খেলতে পারে তখন সহজেই নিচে পড়ে যায়, আমাদের হেলমেট কার্যকরভাবে বাচ্চাদের অপ্রত্যাশিত আকস্মিক ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে যখন শিশুর মাথার সাথে সংঘর্ষ হয়।
খেলার সময়ে লাফালাফি করতে গিয়ে শিশুদের মাথায় আঘাত লেগেই থাকে। এমনটা হলে কিন্তু কখনওই অবহেলা করবেন না। সামান্য চোট থেকেই হতে পারে বড় সমস্যা।
অঘটন যে কোনও সময়ে, যে কারও সঙ্গে ঘটতে পারে। আচমকা মাথায় কোনও কারণে আঘাত লাগলে, তা ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত পেলে শারীরিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলতে পারেন মানুষ। মস্তিষ্ক সারা শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে। সেটি কাজ না করলে ভীষণ মুশকিল। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে হতে পারে বড় বিপদ।
তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এমনটা হলে একটু বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন। খেলার সময়ে, লাফালাফি করতে গিয়ে অনেক বার শিশুদের মাথায় আঘাত লাগে। চেয়ার, টেবিল, কিংবা খাট থেকে পড়ে গিয়েও এমনটা হতে পারে। এমন হলে কিন্তু কখনওই অবহেলা করবেন না। সামান্য চোট থেকেই ভবিষ্যতে হতে পারে বড় সমস্যা।
মাথায় চোট লাগলে অত্যধিক যন্ত্রণা, কথা বলার সমস্যা, শরীরের ভার নিতে না পারা, মাথা ঘোরা, বমি, সঠিক ভাবে হাঁটাচলা না করতে পারা, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, অবসাদ, উদ্বেগ, স্মৃতি হারিয়ে ফেলা, অনিদ্রা, দুর্বলতার মতো সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়াও নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আঘাত গুরুতর হলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে যায়। অনেকের ‘ব্রেন ডেথ’ হতে পারে। ফেশিয়াল প্যারালাইসিস হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এ ছাড়া হেমারেজ, মাথায় ফ্র্যাকচার, ডিফিউস অ্যাক্সোনাল ইনজুরিও হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের রক্তনালী পাতলা এবং ছোট হয়। তাদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে আঘাত লাগলে ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।